টিউশন, ইনফ্যাচুয়েশন ও বিজয়ার এসিমিলেশন

মুখচোরা বা লাজুক না হলেও সুদীপ বরাবরই প্রেম-ট্রেম থেকে শত হস্ত দূরে থেকেছে পুরো স্কুল লাইফে। ইংলিশ মিডিয়াম কো-এড স্কুলে পড়লেও হই-হুল্লোড় করেই স্কুল লাইফটা কাটিয়েছে। শুধু সহপাঠীদের সাথে না, সহপাঠিনীদের সাথেও সুদীপের একটা আলাদা বন্ডিং ছিল। হাসি ঠাট্টা, হই-হুল্লোড়, খেলাধুলা বাদে পড়াশোনায় একটাই বিষয় জানত সে, ভৌতবিজ্ঞান। স্কুলের পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোলে রিপোর্ট কার্ড খুলে শুধু নিজের ও ভৌতবিজ্ঞানের হায়েস্ট মার্কসটা মিলিয়ে রেখে দিত। মাধ্যমিকের গন্ডি পেরোতে না পেরোতেই শুরু হয়ে গেল ইঁদুর দৌড়ে টিকে থাকার লড়াই। উচ্চমাধ্যমিকের প্রত্যেকটা বিষয়ের আলাদা টিউশন। কিছু কিছু তো মাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরোনোর আগে থেকেই চালু হয়ে গেছে। বন্ধু বান্ধবী সহপাঠীদের অনেকে পড়া শুরুও করে দিয়েছিল। সুদীপের অবশ্য সে সবের বালাই ছিল না রেজাল্ট বেরোনোর আগে অবধি। ফুটবল ও ক্রিকেটের খেপ খেলে ফুরসৎ কোথায় সেই তিন মাসে। রেজাল্ট বেরোতেই বাপে নিয়ে গিয়ে ভরে দিল সেই কোচিং সেন্টারগুলোতে। কেমিস্ট্রি কোচিং সেন্টারে প্রথম যেদিন সুদীপ পা দিলো বাবার সাথে, পড়াশোনার অবস্থা শুনে তো অবাক। প্রথম চ্যাপ্টারটা রেজাল্ট বেরোনোর আগেই স্যারের পড়ানো হ...