"মাংসের নুন-ঝাল" - A story translated by me, written by Sayantan

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বন্ধু Sayantan Bose এর একটা গল্প (পোস্ট) ও ছবি দেখতে পেলাম। ইংলিশে লেখা। স্মৃতিগুলো তাজা হয়ে উঠলো। উপযাজক হয়ে প্রস্তাব দিলাম লেখাটা বঙ্গানুবাদ করে দেবো। সায়ান্তন কোনো নামকরণ করেনি গল্পটার। তাই আমিই দিলাম।

ভাষা দিবসের উপলক্ষে আগে বাংলা অনুবাদটি দিলাম। তার পরে আসল গল্প ও লেখকের তোলা ছবি।

The original story in english, written by Sayantan is given brlow. The photograph is also taken by Sayantan.


"মাংসের নুন-ঝাল"

এই ছবিটার সাথে জড়িয়ে আছে এক সুমধুর স্মৃতি। প্রত্যেক সাধারণ বাঙালির মনের চিলেকোঠায় লুকিয়ে থাকা ছোট্ট অনুগল্প। প্রায়শই রবিবারের বারবেলায় মঞ্চস্থ হতো বা এখনো হয়ে থাকে এই কাহিনী, যদিও এবার আমার জীবনে বুধবার হয়েছে। প্রেক্ষাপট ও গল্পের যাত্রাপথ একই রয়ে গেছে আজও। সমানভাবে রয়ে গেছে ছোটবেলার সেই মজা ও রোমাঞ্চকর অনুভতি, যা আজ এত বছর পরেও অম্লান, অটুট। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বোধহয় সত্যিই আমাদের বয়স বাড়ে না।

রবিবারের অপরাহ্নে (ও কখনো এই রকম বুধ বা অন্য কোনো বারেও) রান্নাঘর থেকে ভেসে আসতো রেয়াজি খাসির কষানোর গন্ধ। মায়ের হাতের রান্না করা সেই রেয়াজি খাসির ঝোলের স্বাদ ও গন্ধ অবিকল একই রয়ে গেছে। মোটামুটি মাংসটা পুরো কষানোর পর অল্প জল দিয়ে নাড়াচাড়া করে মায়ের পদধ্বনি পাওয়া যেত। মাংসের গন্ধে আগেই নাক ও কান এত সজাগ থাকতো যে পায়ের আওয়াজ শুনেই শিরদাঁড়া টানটান। একটা তস্য ছোট বাটিতে হাতার কিয়দাংশ (দু চামচ বড়জোর) রক্তবর্ণ ও তৈলাক্ত হাফকষা-হাফঝোল এগিয়ে আসতো মুখের সামনে।
"একটু চেখে দেখ তো, নুন-ঝাল ঠিক আছে? না আর কিছু দিতে হবে?" - মায়ের কথাটা কান দিয়ে ঢুকতো বটে কিন্তু ওদিকে তো তখন রান্নাঘরে মাংস ফুটছে আর আমার মনে খই।
ধোয়া ওঠা সেই ঝোলে জিভ ঠেকানোটাও একটা শিল্প। হাত-ঠোঁট-জিভ, কোনোটাতেই যাতে ছ্যাকা না খাই, সেই ব্যবস্থা করে খেতে হবে। উঃ-আঃ করলেই মা'র অমোঘ বাণী - "একটু ফু দিয়ে খা।"
প্রথম চুমুকটা দিয়ে মাংসের ঝোলের স্বাদের যে স্বর্গীয় অনুভুতিটা পাওয়া যায় তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। চোখ বন্ধ করে সেই তেল-মশলার আস্বাদন ও হাত নেড়ে মাকে বুঝিয়ে দেওয়া, গল্পের এই অঙ্কটা আজও একই ভাবে অভিনীত হয়ে থাকে। সন্তানের কাছে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ রাঁধুনির বোধহয় এটাই অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি।
কিন্তু ওই যে বললাম, মনে তো খই ফুটছে!! মা পিছন ফিরতেই ভয়-উদ্বেগ-আশা-আকাঙ্খা মিশ্রিত একটি সবিনয় নিবেদন আছড়ে পড়তো - "একটা ছোট দেখে পিস আর একটু ভাত হবে?"
বাকিটা ইতিহাস। একরাশ বাহ্যিক বিরক্তি প্রকাশ করে উত্তর আসবে "জ্বালাস শুধু........ রান্নাঘরে এসে নিয়ে যা।"
কেল্লা ফতে!!

a pretty untidy click at the behest to start with.... but there's hidden a tale of middle-class bong households to which probably many of us can relate to...a story which generally used to get unfold on sunday afternoons but this time on a Wednesday for me like thousands of time before..... Everytime its the same fun and the same childish excitement..... Boy we never grow up when it comes to certain things in life...

Mom cooks the typical reyaji pathar jhol and invariably asks to taste for seasoing with a couple of spoons of the red oily flavorful gravy in an extremely small bowl....while the meat is still simmering with the final leg of cooking left, the gravy in the bowl is hot with steam coming out and me trying to manage to take the first sip and still ensuring not to burn the lips, with mom saying, " ektu phoo diye kha".... the first sip will close the eyes with eternal pleasure, the spices mingling a million senses inside the mouth, a hand gesture signalling the cook that she just won ALL MOTHERS MASTERCHEF.... and then with a bit of dilemma, a little anxiety and apprehension, you repeat those words, "ekta choto piece r ektu rice hobe"...... the rest is history.... the answer mixed with a typical bong moms " BIROKTI" is " JALASH SUDHU... RANNAGHAR E ESHE NIYE JAAH".... bass,  the sweetest battle is won 😇😇

Comments

Popular posts from this blog

কার্তিক পুজো ও খাওয়াদাওয়া

পুজো ও বামুন

তালশাঁস সন্দেশ