অফিসিয়াল ট্যুর ও খাওয়াদাওয়া

"সখী, ভাবনা কাহারে বলে। সখী, যাতনা কাহারে বলে । তোমরা যে বলো দিবস-রজনী 'ভালোবাসা' 'ভালোবাসা' —. সখী, ভালোবাসা কারে কয়! সে কি কেবলই যাতনাময় "

না পাগলা না। সে বড়ই সুখময়। কর্মসূত্রে ট্যুরে যাওয়া আমার নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এয়ারলাইন্সের স্যান্ডউইচ ও আমরস, ওমলেট ও নাগেটস বা চিকেন টিক্কা মসলা সহযোগে ভাত (চার চামচ - সে যে আমার পেটের কোন কোনায় চলে যায় বুঝতেও পারি না) এই সব খেয়ে খেয়ে মুখে চড়া পরে গেছে।

তা আমার এহেন ট্যুর নিয়ে নিন্দুকেরা আমার পিঠ পিছে অনেক কথা রটিয়ে থাকেন। কেউ কেউ তো মহারানীকে এই অবধি বলেছে যে, নিশ্চয়ই কোনো এয়ার হোস্টেসের সাথে ইনটু-সিন্টু চলছে, তাই এত এত ফ্লাইটে ঘোরাঘুরি (যেন প্রতিটা ফ্লাইটে একই এয়ার হোস্টেস আমার জন্য বিশেষ ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে)।

মহারানী অবশ্য শোনে ও মিটিমিটি হাসে। কারণ সে জানে "The way to a man's heart is through his stomach"। আমার ক্ষেত্রে তো সর্বাত্মক ভাবে প্রযোজ্য এবং আমার ভুঁড়িটা তার জ্বলন্ত উদাহরণ।

তাই ট্যুর শেষে বাড়ি ফিরে যখন বউয়ের হাতের খাসির মাংস বা গাজরের হালুয়াটা পাতে এসে পড়ে, তখন আমি ফিদা হয়ে যাই।

মহারানী মনে মনে হয়তো এয়ার হোস্টেসগুলোর উদ্দেশে বলে -

ও গো কাজল নয়না আকাশচারিনী,
যতই তোমার হাসি হোক ভুবন মোহিনী,
এই পেটুকের জন্য, সুস্বাদু খাবারের থালাতেই
লেখা আছে জীবনের সব প্রেম কাহিনী।

©সুব্রত চৌধুরী।

Comments

Popular posts from this blog

কার্তিক পুজো ও খাওয়াদাওয়া

তালশাঁস সন্দেশ

পুজো ও বামুন