ফ্রেন্ডশিপ ডে।
আজ ফ্রেন্ডশিপ ডে। বন্ধু ভাগ্য আমার বিশাল, সেই ছোটবেলা থেকেই।
প্রথম সিগারেটে টান দেওয়া, স্কুলের পাঁচিল টপকে সিনেমা দেখতে যাওয়া, এয়ারপোর্ট হোটেল (হোটেল অশোকা) এর ব্যাকইয়ার্ড এ প্রাকটিসরত কোরিয়ান মহিলা আর্চারি টিম কে ঢিল ছুড়ে ডিস্টার্ব করা, নতুন নতুন শুরু হওয়া জেট এয়ারওয়েস এর মিনিস্কার্ট পরা এয়ারহোস্টেস দের দেখতে জানালার বাইরের স্ল্যাবে উঠে দাঁড়ানো, সবেতেই বন্ধুবান্ধব সাথে। কোথাও তারা পথপ্রদর্শক, তো কোথাও এই অধম।
সিগারেট খাওয়ার ব্যাপারে পথপ্রদর্শক আমি হলেও আমার এক পার্মানেন্ট জুড়িদার ছিল। স্কুল থেকে বেরিয়ে, এয়ারপোর্ট ১নং গেটের কাছে বাসস্ট্যান্ডের সাথেই একটা পান গুমটি ছিল, এখন যেখানে পার্কিং ফি কালেক্ট করার বুথ আছে। শ্যামল দার পান দোকান। গোল্ড ফ্লেক সিগারেটের (আমার) সাথে মিঠা পান (বন্ধুর)। না না, শেষ পাতের ব্যাপার নয়, বাড়িতে যাতে গন্ধ না পায়, সেই জন্যেই দুনিয়ার মশলা, কীমাম, গুলকন্দ, চাটনি ও আরো হাবিজাবি দিয়ে খয়ের ছাড়া মিষ্টি পান।
একবার আমি ও বন্ধুটি শ্যামল দার দোকান থেকে দুটো গোল্ড ফ্লেক নিয়েছি। সিগারেট শেষ হলে মিঠা পান কেনা হবে। বন্ধুটি আমার জ্বলন্ত সিগারেট দিয়ে নিজের সিগারেটটা জ্বালাতে যেতেই আমি দেখলাম কাকু আসছেন। ওর বাবা এয়ারপোর্টে কাজ করতেন। তাই দেখেই আমি "কাকু আসছেন" বলেই শ্যামল দার দোকানের পিছনে গিয়ে লুকালাম। ও এত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল যে কি করবে ভেবে পেল না। হাতের জ্বলন্ত সিগারেটটা, হাত শুদ্ধু পিছনে করে দাড়িয়ে রইল।
কাকু সামনে এসে তাকে ঠাটিয়ে এক চর। আসলে সে হাতের সিগারেট তো পিছনে লুকিয়েছিল, কিন্তু নিজের ঠোঁটে যে না জ্বলা সিগারেট রয়ে গেছে, তা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে ভুলেই গেছে সরাতে।
কিন্তু বন্ধুত্ব!! কাকু ঠোঁটের না জ্বলা সিগারেট টা মাটিতে ফেলে কান ধরে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়ার সময়ও কর্তব্য ভোলেনি। পিছনে ধরে রাখা জ্বলন্ত সিগারেটটার সাথেই মিঠা পানের জন্যে একটাকার একটা নোট ও ঠিক ফেলে গেছিল বন্ধুর জন্যে।
©সুব্রত চৌধুরী
প্রথম সিগারেটে টান দেওয়া, স্কুলের পাঁচিল টপকে সিনেমা দেখতে যাওয়া, এয়ারপোর্ট হোটেল (হোটেল অশোকা) এর ব্যাকইয়ার্ড এ প্রাকটিসরত কোরিয়ান মহিলা আর্চারি টিম কে ঢিল ছুড়ে ডিস্টার্ব করা, নতুন নতুন শুরু হওয়া জেট এয়ারওয়েস এর মিনিস্কার্ট পরা এয়ারহোস্টেস দের দেখতে জানালার বাইরের স্ল্যাবে উঠে দাঁড়ানো, সবেতেই বন্ধুবান্ধব সাথে। কোথাও তারা পথপ্রদর্শক, তো কোথাও এই অধম।
সিগারেট খাওয়ার ব্যাপারে পথপ্রদর্শক আমি হলেও আমার এক পার্মানেন্ট জুড়িদার ছিল। স্কুল থেকে বেরিয়ে, এয়ারপোর্ট ১নং গেটের কাছে বাসস্ট্যান্ডের সাথেই একটা পান গুমটি ছিল, এখন যেখানে পার্কিং ফি কালেক্ট করার বুথ আছে। শ্যামল দার পান দোকান। গোল্ড ফ্লেক সিগারেটের (আমার) সাথে মিঠা পান (বন্ধুর)। না না, শেষ পাতের ব্যাপার নয়, বাড়িতে যাতে গন্ধ না পায়, সেই জন্যেই দুনিয়ার মশলা, কীমাম, গুলকন্দ, চাটনি ও আরো হাবিজাবি দিয়ে খয়ের ছাড়া মিষ্টি পান।
একবার আমি ও বন্ধুটি শ্যামল দার দোকান থেকে দুটো গোল্ড ফ্লেক নিয়েছি। সিগারেট শেষ হলে মিঠা পান কেনা হবে। বন্ধুটি আমার জ্বলন্ত সিগারেট দিয়ে নিজের সিগারেটটা জ্বালাতে যেতেই আমি দেখলাম কাকু আসছেন। ওর বাবা এয়ারপোর্টে কাজ করতেন। তাই দেখেই আমি "কাকু আসছেন" বলেই শ্যামল দার দোকানের পিছনে গিয়ে লুকালাম। ও এত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল যে কি করবে ভেবে পেল না। হাতের জ্বলন্ত সিগারেটটা, হাত শুদ্ধু পিছনে করে দাড়িয়ে রইল।
কাকু সামনে এসে তাকে ঠাটিয়ে এক চর। আসলে সে হাতের সিগারেট তো পিছনে লুকিয়েছিল, কিন্তু নিজের ঠোঁটে যে না জ্বলা সিগারেট রয়ে গেছে, তা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে ভুলেই গেছে সরাতে।
কিন্তু বন্ধুত্ব!! কাকু ঠোঁটের না জ্বলা সিগারেট টা মাটিতে ফেলে কান ধরে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়ার সময়ও কর্তব্য ভোলেনি। পিছনে ধরে রাখা জ্বলন্ত সিগারেটটার সাথেই মিঠা পানের জন্যে একটাকার একটা নোট ও ঠিক ফেলে গেছিল বন্ধুর জন্যে।
©সুব্রত চৌধুরী
Comments
Post a Comment