Posts

Showing posts from June, 2019

চিত্রনাট্য

Image
চিত্রনাট্য।। Disclaimer - The incidents and characters are a work of fiction and Resemblance to any person living or dead is purely coincidental. অতীতের নামকরা হিরোইন ও আজকের নামী ফিল্ম ডাইরেক্টর শ্রীমতী অদিতি সিনহা, আজ নিজের ড্রইং রুমে বসে, হুইস্কির গ্লাসটা শক্ত করে ধরা ডান হাতে। এমনিতে চার পাঁচ পেগে ওনার নেশা কোনোকালেই হয় না, কিন্তু আজ কেমন যেন পুরানো কথাগুলো মনে পড়ছে। নেশা হয়েছিল সেদিন, মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করে খালি হাতে ফিরেছিলেন যেদিন। সেদিনের পর যেমন কিছু বিবৃতি দিতে হয়েছিল, আজও সেরকম একটা বিবৃতি দিয়েই বাড়ি এসেছেন। নিজের সিনেমার মতই ফ্ল্যাশব্যাকে চলে গেলেন উনি, বছর পনের পিছনে। ----------------- * ------------------------- রাজ্যটার ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে দুর্নাম বহুদিনের। অবশ্য সাহিত্য, সংস্কৃতি, সিনেমা তে সুনামটা এখনও কিছুটা রয়ে গেছে। রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বোধিসত্ত্ব ব্যানার্জি তাই এবার জোর দিয়েছেন ভারী শিল্পে বিনিয়োগ আনার, যাতে রাজ্যবাসীর জন্যে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায়। নিজে সিনেমা সাহিত্য প্রেমী, সংস্কৃতি দপ্তরও নিজের হাতে তবুও ওই সব খাত...

গন্ধরাজ চিকেন

Image
এবার কলকাতা থেকে ফেরার সময় ভাগ্যিস ট্রেনে ফিরেছিলাম, প্লেনে উঠতে গেলে নির্ঘাত একস্ট্রা আর্থিক ভোগান্তি ছিল কপালে। ট্রেনেও যে একেবারে নিশ্চিন্ত ছিলাম তা নয়, যখন তখন প্যাসেঞ্জার কম্পার্টমেন্টে বানিজ্যিক মাল নিয়ে যাওয়ার কেসে ফেঁসে যেতে পারতাম। কি ছিল না? পোস্তর প্যাকেট, জিরে গুঁড়া, সবজি মশলা, পাঁচফোড়ন এর প্যাকেটের প্রত্যেকটির আলাদা আলাদা বরণমালা, গলায় ঝুলিয়ে হকারি করতে শুরু করলে হাওড়া থেকে বারোদা পৌঁছে যেতাম। সাথে কাসুন্দি, আচার, গবিন্দভোগ চাল, চিচিঙ্গা, ঝিঙে, বরবটি ইত্যাদি ইত্যাদি। ট্রলির একটা হ্যান্ডেল হাওড়া স্টেশনে পৌঁছানোর আগেই ছিড়ে গেল, আরেকটা আনন্দ এ পৌঁছে। কিন্তু এই সমস্ত কিছুকেই ছাপিয়ে আরো একটা জিনিস ছিল, যা স্ক্যানারে দেখে হুট করে জঙ্গি সন্দেহে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে নেওয়ার হাই চান্স। খান বিশেক গন্ধরাজ লেবু তো না, যেন কুড়িটা হ্যান্ড গ্রেনেড। বাগুইআটি ও হাওড়া থেকে বাছাই করে কেনা, গাম্বার্ট সাইজ। দড়ি দিয়ে বেঁধে গলার দু পাশে ঝুলিয়ে নিলে ও দু হাতে দুটো চিচিঙ্গা ঝিঙে নিয়ে নিলেই "মা তুঝে সালাম" এর সানি দেওল। গলায় গ্রেনেডের মালা আর দু হাতে দুটো স্টেনগান নিয়...

দু টাকার ফুটানি

Image
ছোটবেলায় (আশির দশকে) এই একটি নোট পকেটে থাকলে নিজেকে রাজা মনে হত। ক্রিকেটের সময় হলে একটা নর্মাল রাবারের বল পাঁচ সিকি (₹১.২৫), রাবার ডিউস বল দেড় টাকা আর ক্যাম্বিস বলের দাম ছিল পাক্কা দুটাকা। (সুব্রত চৌধুরী) ঘুড়ি ওড়ানোর মরশুমে এই টাকায় আগে এক ডজন ও পরের দিকে দু গন্ডা (আটটা) একতে ঘুড়ি পাওয়া যেত। বাগুইআটি থেকে এয়ারপোর্ট এর বাসভাড়া ছিল ৩৫ পয়সা। সপ্তাহে দু দিন স্কুলে একা আসা যাওয়ার অনুমতি ছিল, তাই বৃহস্পতিবার পেতাম একটা এই দু টাকার নোট। চার বারের আসা যাওয়া মিলিয়ে খরচা ₹১.৪০, হাতে থাকতো ৬০ পয়সা। সোম থেকে বুধ, মা আসতো বলে যেগুলো করতে পারতাম না, ওই দু দিন ৬০ পয়সায় সেই সখ গুলো পূরণ করতাম। (সুব্রত চৌধুরী) পুরোটা খরচা করতাম না, চার আনা করে দু দিনের বাজেট বরাদ্দ রাখতাম, আর দশ পয়সা জমানো। ভাবছেন তো চার আনা বা পঁচিশ পয়সা দিয়ে কি করতাম? কি বা খেতাম? স্কুলের গেটের বাইরে ঠেলা গাড়ি নিয়ে দাড়াতো পঁচা দা। আলুকাবলি, আমড়া মাখা, কামরাঙা মাখা ও হরেক রকম আচারের সম্ভার ওনার সেই গাড়িতে। স্কুল পড়ুয়া দের মায়েদের বক্তব্য ছিল ওনার সব জিনিসই নাকি পঁচা, এবং খুব সম্ভবত সেইখান থেকেই ওনার এহ...