Posts

Showing posts from February, 2020

অনিমন্ত্রিত

Image
"এই ভাই! আপনার নাম কি? কোথায় বাড়ি?" - বিয়েবাড়িতে খেতে বসে, এমন প্রশ্ন শুনে লোকজনকে ঢোক গিলতে দেখেছেন? এখনকার বিয়েবাড়ি গুলোতে খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারটা অধিকাংশ জায়গায় বুফে হয়ে যাওয়ায় একটা শিল্পকলা লুপ্তপ্রায় পর্যায়ে চলে গেছে। অপরিচিত কোনো বিয়েবাড়িতে ঢুকে খেয়ে আসার শিল্পকলা। মানছি, বিনা নিমন্ত্রণে বুফে তে ঢুকেও লোকজন খেয়েই আসে, হয়তো আগের থেকে বেশিই, থ্রি ইডিয়েটস সিনেমার মত। কিন্তু বিয়েবাড়ির ভিড়ে ভালো ড্রেস পড়ে বুফের কাউন্টার থেকে প্লেট নিয়ে যে টুকু ইচ্ছা খেয়েই চলে আসা যায়। বা খেতে খেতে কেউ সন্দেহের চোখে দেখলে, প্রশ্ন করার সুযোগ না দিয়ে, ঘুরে অন্য দিকের ভিড়ে মিশে গিয়ে প্লেট রেখে বেরিয়ে আসার মধ্যে সেই থ্রিল টা নেই মশাই। থ্রিল তো তখন ছিল, যখন মাঠের মধ্যে বিয়েবাড়ির প্যান্ডেলে ঢুকে লম্বা টেবিলের ব্যাচে একসাথে বসে খেতে হত। হায়ার করা ক্যাটারারের সার্ভিং বয় না, পরিবেশন করতো পরিবারের সদস্য বা পাড়ার ছেলেরা, খাওয়ার মধ্যে একবার হলেও গৃহকর্তা এসে কথা বলে আপ্যায়ন করে যেত। এদের মধ্যে কেউ সন্দেহের চোখে দেখছে, বুঝতে পারলেও , স্বাভাবিক হয়ে পুরো ব্যাচের স...

গোত্রান্তর (অনুগল্প)

দিদির হাতের বানানো টুকটাক মুখরোচক খাবার গুলো খেতে খুব ভালোবাসতো অজয়। কিন্তু গোঁড়া ব্রাহ্মণ বাড়ির মেয়ে অনিতা বাড়ির অমতে কায়স্থ ছেলেকে বিয়ে করায়, তার হাতের রান্না তো দুরস্ত, জল ও কেউ খায়না এই বাড়িতে। কিশোর অজয় মা - বাবা, ঠাকুর্দা ঠাকুমা কে জিজ্ঞেস করেছিল, কেন? সবাই একটাই কথা বলত বাড়িতে, "কায়স্থ ছেলেকে বিয়ে করেছে, গোত্রান্তর হয়ে সে এখন কায়স্থ। আর এ বাড়িতে কেউ ব্রাহ্মণের হাতের রান্না ছাড়া কিছু খায় না, তাই ওসব অনাচার চলবে না। স্বামী নিয়ে বাপের বাড়ি আসায় কোনও বাঁধা দেইনি, এই ঢের।" এক যুগ কেটে গেছে, অজয়ের ঠাকুর্দা পরলোকগমন করেছেন বছর তিনেক আগে। বাড়িতে, অজয়ের বিয়ের কথা উঠতেই, অজয় নিজের পছন্দের কথা জানালো। সুমিতা, ওর সহকর্মী, দুজন একই অফিসে কাজ করে। সাথে সাথে মা - বাবা - ঠাকুমার প্রশ্নবাণ, "ব্রাহ্মণ?" - "না, তোমাদের হিসেবে, বদ্যি। আমার হিসেবে মানুষ।" - "কিন্তু, তা কি করে হয়? বদ্যি বাড়ির মেয়ে এসে আমাদের বাড়ির ঠাকুরঘরে, রান্নাঘরে ঢুকবে, তার হাতের ছোয়া জল আমাদের খেতে হবে? এসব অনাচার চলবে না।" - "এতো ছোয়া ছুইর বাতিক থা...