Posts

Showing posts from November, 2018

মটন পোড়া

Image
"না গুরু, এমনি হলে হবে না। ওই গব্বর সিংয়ের ডেরায় মেহবুবা মেহবুবা নাচের সময়, খাসি টাকে কাঠের আগুনে যেভাবে ঝলসানো হচ্ছিল, সেই ভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঝলসানোর ব্যবস্থা করতে হবে।" ২০০৫ সাল, ডিসেম্বর মাস। বিকেল বিকেল বোলপুর স্টেশন থেকে প্রান্তিক এসে পৌঁছেছি। দিন পাঁচেকের জন্যে বাড়ি থেকে দূরে সাত আট বন্ধু মিলে হই হুল্লোড় করতে এক বন্ধুরই বাংলো বাড়ি তে আসা। ওর বাবা বিল্ডার। কেয়ারটেকার অশোক ও রান্নার জন্যে এক ঠাকুমা আছেন বাংলোতে, খোয়াইয়ের দিকে কোনো গ্রামে থাকেন। সন্ধ্যের মধ্যে রান্না করে দিয়ে ঠাকুমা চলে যায়। অশোক, দরকার থাকলে থেকে যায়, আর না হলে বেশি রাতে বাড়ি ফেরে। বাড়ি পৌঁছে ঠাকুমাকে দেখেই, এক গামলা স্যালাড কেটে আর রাতের জন্যে গোটা ত্রিশেক রুটি করে রেখে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে বললাম। অশোক অল্পবয়সি চটপটে ছেলে। দেশী চিকেনের কথা বলতেই বলল, সকালেই গোটা কুড়ি দেশী মুরগী কিনে রেখেছে, দাদাবাবুর ফোন পেয়েই। বাগানের ঘরে আছে, যতগুলো লাগবে, ও নিজেই কেটে ড্রেস করে দেবে। এহেন একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট পেলে চ্যাংরা ছেলেপুলের দল যে অতি উৎসাহী হবে, তা বলাই বাহুল্য। কনকনে ঠান্ডায় দেশী চিকেন এর ...

কার্তিক পুজো ও খাওয়াদাওয়া

Image
এবার বাড়ি গিয়ে পুরানো কাগজ ঘাটতে ঘাটতে একটা কাগজ পেলাম। তিনি অবশ্য এতই দীর্ণ জীর্ণ ছিলেন যে তাকে খুলতে গিয়ে অক্ষত রাখা যায়নি। তবে যে টুকু উদ্ধার করলাম (বাকিটা আন্দাজ), তা এইরকম ছিল হয়তো: কার্তিক ঠাকুর হ্যাংলা আমরা তার চ্যালা পেটভরে খাবো মোরা ঘরে হবে পোলা। (ধ্রুব সত্যি হল, সেই সময় পোলা না লিখে মেয়ের কথা লিখলে, খাওয়া তো দূর, মূর্তির দাম ও কেউ দিত না হয়তো। আমি মোটেও কন্যাসন্তান বিদ্বেষী নই, এবং সন্তান হিসেবে রাজকুমারী কে পেয়ে আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ।) মূর্তির দাম - ১৫১/- খাওয়া দাওয়া সাদা ভাত মুগ ডাল ঝুরো আলুভাজা ফুলকপির রসা কাতলা কালিয়া খাসির মাংস জলপাইয়ের চাটনি রসগোল্লা মিষ্টি দই ইতি - সবার নাম লেখা থাকত। কোনো এক বছর কারোর বাড়িতে কার্তিক ফেলার জন্যে ঠাকুরের হাতে দেওয়া লিস্ট ছিল। কার্তিক মাসের সংক্রান্তির আগের রাত্রে নব বিবাহিত ও নিঃসন্তান দম্পতির উঠোনে কার্তিক ঠাকুর ফেলা, এক বহু পুরানো রেওয়াজ। (মজার ছলে ব্যাপারটা চললেও, কিছু কিছু জায়গায় যে তা উৎপাত বা উপদ্রবের পর্যায় পৌঁছে যায়, সেটা অস্বী...